চীনের হুঁশিয়ারির পরও তাইওয়ানে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ২৫ বছরের মধ্যে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের কোনো স্পিকারের এটিই প্রথম তাইওয়ান সফর। (খবর বিবিসির)।
পেলোসি তাইওয়ানে গেলে ‘মারাত্মক পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে আগেই সতর্ক করেছিল চীন। সোমবার সকাল থেকেই চীনের যুদ্ধজাহাজগুলো তাইওয়ান প্রণালীর মাঝরেখার কাছে উপস্থিতি জানান দিয়েছে। তাইপেতে পেলোসির হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে চীনপন্থীরা।
মঙ্গলবার সকালেও চীন একই এলাকার কাছ দিয়ে জঙ্গি বিমান উড়িয়েছে। এর মধ্যে সেখানে মার্কিন যুদ্ধজাহাজও মোতায়েনের খবর পাওয়া গেছে।
এমন এক উত্তেজনার আবহেই তাইওয়ানে পা রাখলেন পেলোসি। এর আগে ১৯৯৭ সালে রিপাবলিকান নিউ গিংরিচ তাইওয়ানে গিয়েছিলেন।
পেলোসির বিমান তাইওয়ানে অবতরণের পরপরই চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয় তাদের সামরিক বিমান তাইওয়ান উপত্যকা অতিক্রম করেছে।
মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছেই বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে তার প্রতিনিধি দল তাইওয়ানের গতিশীল গণতন্ত্রের প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
মার্কিন স্পিকারের তাইওয়ান সফরকে যুদ্ধের উসকানি বলে আখ্যা দিয়েছে রাশিয়া।
পেলোসি তাইপের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে রাত কাটাবেন। তার সফরের বিরোধিতা করে হোটেলের বাইরে চীনপন্থী লোকজন বিক্ষোভ করছেন।