যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’ নামের পারমাণবিক অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তিটি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার রুশ পার্লামেন্টে দেওয়া ‘স্টেট অব দ্য ন্যাশন’ ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এই ভাষণে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বড় অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত রাখবেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর হওয়ার ঠিক কয়েকদিন আগে তিনি এমন ঘোষণা দিলেন।
গত দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম পুতিন কোনো স্টেট অব দ্য ন্যাশনে ভাষণ দিলেন। যুদ্ধের কারণে তার এই ভাষণের সময় বারবার পেছানো হয়েছিল।
‘নিউ স্টার্ট’ নামের চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে একমাত্র পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি, যা এখন পর্যন্ত বহাল আছে। ২০২১ সালে এই চুক্তির মেয়াদ ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেন, রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্ব দনবাস অঞ্চলের সংঘাত সমাধানের চেষ্টা করেছে। শান্তির বিষয়ে পশ্চিমাদের যে অঙ্গীকার, তা আসলে এক ধরনের প্রতারণা।
পুতিন বলেন, ‘কিয়েভ সরকার জীবাণু ও পরমাণু অস্ত্র পাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এটি সমাধানের জন্য সব রকমের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের পেছনে ভিন্ন খেলা চলছিল। পশ্চিমারা আসলে সময়ক্ষেপণ করছিল।’
বিট্রিশ গণমাধ্যম বিবিসির রাশিয়া বিষয়ক সম্পাদক বলছেন, পুতিন তার ভাষণে ইউক্রেন যুদ্ধের একটা মিথ্যা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন বাড়ানোর জন্য।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পডোলিয়াক বলেন, রাশিয়া যে অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে সেটি থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তিনি একেবারেই ভিন্ন এক বাস্তবতার মধ্যে আছেন। যেখানে ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা শুরুর কোনো সুযোগ নেই।