করোনা মহামারি মোকাবেলায় পর্তুগালের সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারতা তেমিদো পদত্যাগ করেছেন। ৩০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী আন্তনীয় কস্টার কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
স্বাস্থ্য খাতের পেশাজীবীদের অসন্তোষের কারণে তিনি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ভারত থেকে পর্তুগালে ঘুরতে গিয়েছিলেন ৩৪ বছরের এক তরুণী। অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁকে এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ঘুরতে হয়। সেই ধকল সহ্য করতে পারেননি তিনি। পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মারতা কিছু দিন আগে চিকিৎসকের অভাবে পর্তুগালে প্রসূতি বিভাগের জরুরিকালীন পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই কারণেই অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় পর্যটককে এভাবে মরতে হল বলে দাবি করছেন অনেকে।
এছাড়া স্বাস্থ্য খাতের পেশাজীবীদের বেতন ভাতা, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, কাজে বাধ্যবাধকতা এবং পেশাগত স্বীকৃতির বিষয়ে সরকারের সাথে দফায় দফায় বৈঠক এবং এ বিষয়ে সমস্যার সমাধান না হওয়াসহ ২৯ আগস্ট চিকিৎসায় অবহেলার কারণে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর পর তিনি পদত্যাগ করলেন।
মারতা তেমিদো ২০১৮ সালের অক্টোবরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। করোনা মহামারিকালে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যখন স্বাস্থ্য খাতের সাথে অর্থনীতির সমন্বয় করতে ব্যর্থ ছিল, সেখানে তিনি পর্তুগালের স্বাস্থ্য খাতের সবগুলো বিষয় সাফল্যের সাথে সমাধান করেন। ফলে তিনি সরকারের মন্ত্রিসভা এবং জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
তিনি যে সরকার প্রধানের কাছে কতটা আস্থাশীল ছিলেন তার আভাস পাওয়া যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তার উত্তরসূরী নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে। তিনি বলেন, মারতা তেমিদোর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়নি। সুতরাং এই দায়িত্বে নতুন মুখ নির্ধারণে কিছুটা সময় লাগবে।
এদিকে দলীয় মুখপাত্র জানান, আমরা দুঃখজনকভাবে যোগ্য লোককে হারিয়েছি।