ঋণ শোধ করার সময় এসেছে, পাওনাদারের থেকে বাঁচতে নিজের মৃত্যুর ভুয়া খবর প্রচার করার অভিযোগ এক মহিলার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, নিজের মৃত্যুাকে বিশ্বাস যোগ্য করতে তার মৃতদেহের বেশ কিছু ছবিও তোলেন তিনি। সেই ছবিগুলি পোস্ট করেন সমাজমাধ্যমে। গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি, অভিযোগ পাওনাদারের।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এল নামের ওই মহিলার থেকে বেশ কিছু টাকা পেতেন মায়া গুনাওয়ান নামের অপর এক মহিলা। নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ সেই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল এলের। তিনি মায়াকে অনুরোধ করেন ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়ার। কিন্তু ডিসেম্বরের ১২ তারিখ তাগাদা দেওয়ার জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন মায়া।
তখনই ফেসবুকে এলের মেয়ের করা একটি পোস্ট দেখে চমকে ওঠেন তিনি। ওই পোস্টে জানানো হয়, একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এল। উত্তর সুমাত্রার মেডান নামের একটি সেতুতে পথ দুর্ঘটনাটি হয় বলেও দাবি করা হয় ওই পোস্টে। সঙ্গে নাকে তুলো দেওয়া অবস্থায় এলের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কিছু ছবিও দেওয়া হয়। ওই পোস্টে এও দাবি করা হয়, ইতিমধ্যেই সমাধিস্থ করা হয়েছে এলকে।
পোস্টের কিছু পরে জানা যায়, হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল সেগুলি একটি টিভি ধারাবাহিকের ছবি। এর পর এলের মেয়ে দাবি করেন, তাঁর মা আদৌ মারা যাননি। গোটাটাই নাটক।
তিনি এও দাবি করেন, বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ওই ছবি তোলেন তার মা। তার পর তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পোস্ট করেন ছবিগুলি। গোটা ঘটনায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন মায়া নিজেই। টাকা ফেরত চেয়ে এলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও, এলের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না বলে দাবি তার।