অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করছেন তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকরা।
রোববার দেশটির করাচি, পেশোয়ার, মালাকান্দ, মুলতান, খানেওয়াল, খাইবার, ঝাং, কোয়েটা, ওকারা, ইসলামাবাদ, লাহোর এবং অ্যাবোটাবাদের মতো শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ করেছেন পিটিআই সমর্থকরা।
এছাড়াও সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকে সারা দিয়ে বাজাউর, লোয়ার দির, শাংলা, কোহিস্তান, মানসেহরা, সোয়াত, গুজরাট, ফয়সালাবাদ, নওশেরা, ডেরা গাজী খান এবং মান্ডি বাহাউদ্দিনেও বিক্ষোভ হয়েছে।
এর আগে ইমরান খান এক টুইট বার্তায় বলেলেন, ‘১৯৪৭ সালে পাকিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়। কিন্তু শাসন পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আজ আবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছে। দেশের জনগণই সর্বদা তাদের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করে।’
এছাড়াও, রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় এশার নামাজের পরে জনগণকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন পিটিআইয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরীও।
তিনি বলেন, “খান একটি বৃহৎ আন্দোলনের নেতৃত্ব না দেওয়া ‘দেশের রাজনীতি ও সংবিধানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে পরিগণিত হবে।”
পরে পিটিআই বিভিন্ন বিক্ষোভের একটি সময়সূচি জারি করে। যা সারা দেশে রাত সাড়ে নয়টায় শুরু হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
দেশজুড়ে পিটিআই আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন ইমরান খান। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটি বলছে, যাতে তারা আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে।