পাবজি খেলতে বাধা দেওয়ায় খেপে গিয়ে মায়ের মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে এক কিশোর। খুনের পর মায়ের লাশ তিনদিন ঘরেই লুকিয়ে রাখে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেটি। খবর আনন্দ বাজারের।
বুধবার আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে বলছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের লখনউয়ের পঞ্চমখেদা যমুনাপুরম কলোনিতে।
ওই কিশোর তার ছোট বোনকে হুমকি দেয় যে, পুলিশ বা অন্য কাউকে এ বিষয়ে কিছু বললে তাকেও খুন করবে। লাশে পচন ধরে মঙ্গলবার দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। পরে প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সাধনা সিংহ (৪০) নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশের জেরার মুখে নিজের দোষ স্বীকার করেছে ওই কিশোর। ছেলেটির বাবা নবীন সিংহ সেনাবাহিনীর সুবেদার মেজর (জেসিও)। তিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কর্তব্যরত।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে সাধনা সিংহ দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ৩টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে থাকা নবীনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল বের করে মায়ের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় ছেলে।
অভিযুক্ত কিশোরের বোন পুলিশকে জানিয়েছে, এই দুদিনে তার ভাই বার বার মায়ের মৃতদেহের ঘরে যেত এবং দুর্গন্ধ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য সুগন্ধী ব্যবহার করত। কিন্তু মঙ্গলবার দুর্গন্ধ মাত্রা ছাড়ালে অভিযুক্ত কিশোর তার বাবাকে ফোন করে বলে যে, তাদের মাকে কেউ বা কারা খুন করেছে এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন এসে দুই ভাই-বোনকে ঘরে আটকে রেখেছে।
পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত কিশোর জানিয়েছে, সে সবসময় পাবজি খেলতো বলে তার মা তাকে মারধর করত।
এমনকি, ঘটনার দিন ঘর থেকে ১০ হাজার টাকা চুরি হয়। সেই দোষও তার ঘাড়ে এসে পড়ে। এ নিয়ে তার মা তাকে সন্দেহ করে এবং মারধর করে। কিন্তু শনিবার মায়ের কাছে মার খাওয়ার পরই সে মাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।