পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। অনাস্থা ভোট চলাকালীন প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপরই সেই পরামর্শ মতো পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন পাক প্রেসিডেন্ট।
রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. শাহবাজ গিল প্রেসিডেন্ট কর্তৃক পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করেন দেশটির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, পার্লামেন্টে ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। এই অনাস্থা প্রস্তাবকে সংবিধান বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রতি বিশ্বস্ত থাকা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।
এর আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সময় দেশবাসীর কাছে নির্বাচনের জন্য তৈরি হওয়ার আবেদন রাখেন ইমরান খান।
দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ ঘাবড়ে যাবেন না। আল্লাহ পাকিস্তানের উপর নজর রাখছেন। তিনি দেখছেন, কী ভাবে তার সরকারকে বিপাকে ফেলতে পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বিরোধীরা।
এরপরই ইমরানকে বলতে শোনা যায়, দেশবাসীই স্থির করুন, তারা কাকে ক্ষমতায় দেখতে চান।
এর আগে এই অনাস্থা প্রস্তাবকে বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকদের ‘নির্লজ্জ ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেন ইমরান।
এদিকে ভোট শুরুর আগে বিক্ষোভ, জমায়েত বন্ধ করতে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রোববার স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এছাড়াও দেশটির পার্লামেন্টেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।