বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজস্থানের বারমেরে প্রশিক্ষণের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি মিগ-২১ জেট বিধ্বস্ত হলে দুই পাইলট নিহত হন।
নিহত দুই পাইলট হলেন উইং কমান্ডার এম রানা এবং ফ্ল্যাইট লেফটেন্যান্ট অদ্বিতিয়া।
শুক্রবার ফ্ল্যাইট লেফটেন্যান্ট অদ্বিতিয়ার পরিবার তার মরদেহ গ্রহণ করতে বিমানে করে দিল্লি থেকে যোধপুরে যান। একই সময় সেই ফ্লাইটে একজন টুইটার ব্যবহারকারী ছিলেন। টুইটারে তিনি তার বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। (খবর এনডিটিভির)।
শেরবীর পানাগ নামে ফিনান্সিয়াল ক্রাইম অ্যান্ড করপোরেট গভর্নেন্স এর ওই আইনজীবী তার টুইট বার্তায় লিখেছেন; ফ্ল্যাইট লেফটেন্যান্ট অদ্বিতিয়ার পরিবার আমার পাশে তৃতীয় সারিতে বসেছিলেন। আমরা যখন অবতরণ করি তখন ক্যাপ্টেন সবাইকে বসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন যাতে দুর্ঘটনায় নিহত অদ্বিতীয়ার পরিবার আগে নামতে পারে। তবে ক্যাপ্টেনের অনুরোধ উপেক্ষা করেই প্রথম ও দ্বিতীয় সারির যাত্রীরা নামতে থাকেন।
শেরবীর পানাগ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এইচএস পানাগের ছেলে। তিনি বলেন; অন্যান্য যাত্রীরা ফ্ল্যাইট লেফটেন্যান্টের পরিবারকে আগে যেতে দেয়নি।
টুইট বার্তায় তিনি আরও লিখেছেন; আমি এবং কয়েকজন যাত্রী আমাদের কণ্ঠের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চিৎকার করে সবাইকে বসতে বলেছিলাম। যাতে নিহত অদ্বিতিয়ার পরিবার আগে নামতে পারে। সবকিছু দেখে শুনেও যাত্রীদের এমন আচরণ আমাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছে। তাদের এ আচরণই ত্যাগের প্রতি আমাদের সম্মানের বাস্তবতা।
বৃহস্পতিবার রাতে বারমেরের কাছে প্রশিক্ষণের সময় মিগ-২১ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ ভারতীয় পাইলট নিহত হন। হিমাচল প্রদেশের উইং কমান্ডার এম রানা ছিলেন দ্বিতীয় পাইলট।