রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্তে চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশিদের ‘অবিলম্বে’ ইউক্রেন ত্যাগের পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের জরুরি ঘোষণায় এ পরামর্শ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘অত্যাবশ্যকীয়’ না হলে ইউক্রেন ভ্রমণ পরিহারের পরামর্শ দেয়া হলো। ইউক্রেনে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। এ কারণে পোল্যান্ডের ওয়ারশ’তে থাকা দূতাবাস একই সঙ্গে ইউক্রেনের বিষয়গুলো দেখাশোনা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করার পরামর্শ দেয়া হলো। অন্য কোনো দেশে যেতে না পারলে তারা বাংলাদেশে যেতে পারেন। ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে পরামর্শ হালনাগাদ করা হবে। একইসঙ্গে সকল বাংলাদেশিকে অত্যাবশ্যকীয় না হলে ইউক্রেনে সকল প্রকার ভ্রমণ পরিহার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস।
এতে উল্লেখ করা হয়, ইউক্রেনে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে তাদের অবস্থানের তথ্য দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। যাতে জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা যেটা করি যে, কোনো দেশে বা অঞ্চলে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে অঞ্চলে থাকা নাগরিকদের সাবধানে রাখার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রেও সেটা করা হয়েছে।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে মোট কতজন বাংলাদেশি থাকেন তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে এই সংখ্যা চার থেকে পাঁচশ’ হতে পারে বলে ধারণা প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর এ উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে প্রায় ১ লাখ রুশ সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। পাশাপাশি ২০১৫ সালে ইউক্রেনের কাছে থেকে দখল নেওয়া দ্বীপ ক্রিমিয়াতেও সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে সেনা উপস্থিতি; এ ছাড়া গত সপ্তাহে কৃষ্ণ সাগরে সামরিক মহড়া শুরু করে রাশিয়া।