বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭ হাজার ৫৭০ জন। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭১৫ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ ২৮ হাজার ৯২ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৫১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৪ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ১০৪ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ১২১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১২৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৫১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৭৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯২ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ১৬৪ জন এবং মারা গেছেন ২৬১ জন। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৮০৭ জন এবং মারা গেছেন ১৯৯ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৩০১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১২ হাজার ১৭৭ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৭ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭১৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
