আগামী সপ্তাহে পাম তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে ইন্দোনেশিয়া, বৃহস্পতিবার এমন ঘোষণাই দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। এর ফলে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে দাম বেড়ে যাওয়া তেলের বাজারের উপর চাপ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
অভ্যন্তরীণ ঘাটতির মুখে সরবরাহ বজায় রাখাতেই গত মাসে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইন্দোনেশিয়া সরকার।
এমন একটি সময়ে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলো উইডোডো সরকার, যখন দেশটিতে অস্বাভাবিকভাবে পাম তেলের দাম কমে যায়। এতে চাষি ও উৎপাদকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন।
এরই জেরে পাম তেল উৎপাদনকারীরা গত সপ্তাহে রাজধানী জাকার্তার কেন্দ্রস্থলে এবং বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভও করেছেন।
দেশটির এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে সিএনএন “খাদ্য মূল্যের জন্য একটি আশার ঝলক? পাম তেল রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ইন্দোনেশিয়া” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার এ পদক্ষেপ যা কঠোর বিশ্ববাজারকে সহজ করতে পারে এবং খাদ্যের দামের উপর কিছুটা চাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
উইডোডো অনলাইন ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “রান্নার তেলের সরবরাহের উপর ভিত্তি করে এবং পাম তেল শিল্পে নিয়োজিত ১৭ মিলিয়ন কৃষক ও শ্রমিকদের স্বার্থ বিবেচনা করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ২৩ মে সোমবার থেকে রান্নার তেল রপ্তানি আবার চালু করা হবে।”
তিনি বলেন, “সাশ্রয়ী মূল্যে চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করতে সরকার সবকিছু কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।”
কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করায় ইন্দোনেশিয়ান নৌবাহিনী এ মাসের শুরুতে আদেশ লঙ্ঘন করে দেশের বাইরে পাম তেল বহনকালে একটি ট্যাঙ্কার আটক করেছিল।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর উইডোডো বলেছিলেন, “দেশের ২৭০ মিলিয়ন লোকের জন্য সরবরাহ নিশ্চিত করা তার সরকারের “সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার”।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর আকাশচুম্বী দামের কারণে জাকার্তা চাপের মুখে পড়েছিল।