গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কিছুটা কমেছে। মহামারি এ ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা ২৫ কোটি ছাড়িয়েছে। আর এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ৫০ লাখ ৬০ হাজার মানুষ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ২ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৬ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ১৬৭ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৪ হাজার ৮৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে মারা গেছেন এক হাজার ১৮৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ৩৩৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৫ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৬৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৪২২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত চার কোটি ৭৩ লাখ ১২ হাজার ৬৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সাত লাখ ৭৫ হাজার ৯৫ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ৬৯৩ জন এবং মারা গেছেন ১৫৫ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯২ লাখ ৭২ হাজার ৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৪১ হাজার ৭৪৩ জন মারা গেছেন।
আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৬৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৩২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ নয় হাজার ৪১৭ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৭৯ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।