বিশ্বজুড়ে আবার বাড়ছে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৩৬৩ জন, আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৯ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭৪ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৫০ লাখ ৭১ হাজার ৪৬ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২২ কোটি ৭৩ লাখ ১৫ হাজার ৩৮২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৬৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৭৪ লাখ ১৭ হাজার ৭৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৪ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৯০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৪০০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪ জনের।
যুক্তরাজ্যে গত একদিনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩২ হাজার ৩২২ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৬২ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৮ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৩৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৬০২ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৪১ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।