নিজেদের দেশে দাম বৃদ্ধি রোধে সম্প্রতি বড় পরিসরে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। তবে, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে এ রপ্তানি অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
ভারতের গম রপ্তানি ও আয়ের একটি তথ্য দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস। পত্রিকাটিতে শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতীয় গমের ভালো চাহিদা রয়েছে। আর সেজন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের গম রপ্তানি সর্বকালের সর্বোচ্চ ৭ মিলিয়ন টনে পৌঁছায়। যার মূল্য ২.০৫ বিলিয়ন ডলার।
বিপুল এ রপ্তানি বাজারে মধ্যে বাংলাদেশেই প্রায় অর্ধেক রপ্তানি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন- নিষিদ্ধের পরও ১৫ লাখ টন গম রপ্তানির অনুমোদন ভারতের
বৃহস্পতিবার দেশটির কৃষিমন্ত্রী তোমর জানান, বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব। একইসঙ্গে নিজের দেশের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের খাদ্য চাহিদার বিষয়টিও ভারতের দেখতে হয়, এমনটা দাবি তার।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের জন্য জাতীয় স্বার্থ সবার আগে আসে। আর সে কারণেই দেশে গমের কোনো ঘাটতি ছিল না। বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব। তাই, ব্যাপক রপ্তানি রোধে আমরা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। খাদ্যশস্য। আমাদের দেশের চাহিদা মেটাতে হবে।”
তোমর বলেন, ‘ভারতকে তার প্রতিবেশীদের খাদ্যশস্যের চাহিদাও দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো আমাদের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের অনেক দেশের খাদ্যশস্যের প্রয়োজন এবং তারা ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।”
গত ১৩ মে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ্যশস্য উৎপাদক দেশ ভারত ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ মূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার অংশ হিসাবে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই গম রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে কংগ্রেসের অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এসব দায়িত্ব পালনের জন্য, আমরা আমাদের অ্যাকাউন্ট (স্টক) পরীক্ষা করে (রপ্তানি নিষিদ্ধ করার) সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”