বেশ কয়েকদিন ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের রোগিদের দেয়া হচ্ছিল বাংলাদেশের সরকারি ওষুধ। কিন্তু ওসব ওষুধের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওষুধ খাওয়া রোগিরা। প্রশ্ন ওঠে, ওই ওষুধ কীভাবে ভারতের হাসপাতালে এলো?
অবশেষে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ওসব ওষুধ অবৈধ নয়, বাংলাদেশ সরকার গত বছরর জুনে ভারতকে অনুদান হিসেবে পাঠিয়েছিল। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ওষুধ রাজ্যকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশ সরকার ওই ওষুধগুলি ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রককে দান করেছিল বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ওই ওষুধ দেওয়ার মধ্যে অনৈতিক কিছু দেখছে না স্বাস্থ্য দফতর। শুধু তাই নয়, ওই ওষুধ বৈধ বলেও জানিয়েছে তারা।
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের বাংলাদেশের ওষুধ দেওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ওই ওষুধগুলি গত বছর ৩ জুন রাজ্যকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, “ওই ওষুধগুলি বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ মন্ত্রক এ দেশে পাঠিয়েছিল। রাজ্যের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে ওই ওষুধগুলি নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গত বছর ৫ জুন এবং ৭ জুন পাঠানো হয়েছিল।”
মঙ্গলবার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন অনেক রোগী। তাঁদের অনেককে প্রেসক্রিপশন মাফিক ওষুধ দিয়েছিল হাসপাতাল। কাউকে কাউকে দেওয়া হয়েছিল ডক্সিসাইক্লিন নামক অ্যান্টিবায়োটিকের স্ট্রিপ। ওই স্ট্রিপে বাংলা হরফে লেখা ছিল, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয় বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়’। ওষুধ কবে তৈরি বা কবে তার মেয়াদ শেষ— এমন কোনও তারিখও স্ট্রিপে উল্লেখ করা ছিল না। বিষয়টি নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।