ভারতের ১৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশটির সংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে মোট ৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি আইনপ্রণেতা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন রাষ্ট্রপতি বেছে নেবেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু এবং কংগ্রেস, তৃণমূল, বামসহ বিরোধী দলের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
ভারতে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। দেশটির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলোর বিধায়ক, লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত সাংসদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। কিন্তু এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে সকল বিধায়ক ও নির্বাচিত সংসদদের ভোটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হয়।
২১ জুলাই ভোট গণনা হবে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ২৫ জুলাই দেশটির পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন। আগামী ২৪ জুলাই রাম নাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হবে।
৬৪ বছর বয়সী সাবেক শিক্ষিকা মুর্মু পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার বাসিন্দা। তিনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের ৪৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি হিসাবে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচিত হলে ৬৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ হবেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি।
১৯৫৮ সালের ২০ জুন দ্রৌপদী মুর্মু জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে স্নাতক শেষ করেন এবং স্কুল শিক্ষক হওয়ার আগে একজন সরকারি কর্মচারী হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ওড়িশার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। প্রথমে স্থানীয় নাগরিক সংস্থার কাউন্সিলর এবং পরে রাজ্য বিধায়ক হন।
দুই মেয়াদের বিজেপি বিধায়ক ২০০০ সালে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হন। এর প্রায় ১৫ বছর পর মুর্মু ২০১৫ সালের মে থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মুর্মু তার স্বামী এবং তাদের দুই ছেলেকে হারিয়েছেন। তার একটি মেয়ে রয়েছে।