ভূমিকম্পের কারণে সিরিয়ার ৫০ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন। (খবর আল-জাজিরার)।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর সিরিয়া প্রতিনিধি শিভাঙ্ক ধানপালা শুক্রবার বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে সিরিয়ায় প্রায় ৫০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে থাকতে পারে। এটি একটি বিশাল সংখ্যা। সিরিয়ার জন্য, এটি সঙ্কটের মধ্যে আরেক সংকট। আমরা অর্থনৈতিক ধাক্কা খেয়েছি। কোভিডের পর এখন আমরা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে রয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তুষারঝড় চলছে।’
৭ দশমিক ৮ এবং ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন সিরিয়ার অন্যান্য অংশ থেকে প্রায় ১২ বছরের গৃহযুদ্ধে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য স্থাপিত শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে। অনেকে তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছেন বা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
ভূমিকম্পের কারণে তুরস্ক এবং সিরিয়াজুড়ে ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। সিরিয়ায় এই সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। ধনপালা বলেন, ‘ইউএনএইচসিআর সিরিয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ‘দ্রুত সহায়তা’ করছে, কিন্তু ‘এটি খুব, খুব কঠিন’। দেশে ইতোমধ্যে ৬০ লাখ ৮০ হাজার মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর এটা ছিল ভূমিকম্পের আগে।’
বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে ছয়টি গাড়ি প্রবেশের পর ১৪ ট্রাকের জাতিসংঘের দ্বিতীয় সাহায্য বহর সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করেছে। সিরিয়া সরকার বলেছে, তারা জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থার সহযোগিতায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ত্রাণ বিতরণের অনুমতি দেবে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের রিপোর্টে আল জাজিরার ক্রিস্টেন সালুমি বলেছেন, ‘সিরিয়ার ধ্বংসযজ্ঞের পুরো মাত্রাটি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।’ যদিও আরও সাহায্যের আরও বহর অনুমোদিত সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে প্রবেশ করছে, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন এটি খুব কম এবং অনেক দেরি হয়ে গেছে।