মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন এক তরুণী। এ কারণে ভুক্তভোগী ওই তরুণীকেই প্রকাশ্যে ‘শাস্তি’ হিসেবে তার মুখে মেখে দেয়া হলো কালি।
শনিবার ভারতের দিল্লির শাহিনবাগে এমন ঘটনাই ঘটেছে। খবর আনন্দবাজারের।
ওই তরুণী রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী মহেশ জোশীর ছেলে রোহিত জোশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লির রাস্তায় মায়ের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা। তার মুখে কালির মতো দেখতে রাসায়নিক ছুঁড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ তাদের। ঘটনায় শিকার ওই তরুণী এখন এমস-এর ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
২৩ বছরের ওই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী মহেশ জোশীর ছেলে রোহিত জোশীর বিরুদ্ধে। সেই সূত্রে শুক্রবারই রোহিতকে দিল্লি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তবে ধর্ষণের অভিযোগ সত্ত্বেও রোহিতকে গ্রেফতার করা যায়নি। কারণ, আগেই এই মামলায় রোহিতকে আগাম জামিন দিয়ে রেখেছিল আদালত।
বিজেপির অভিযোগ, মন্ত্রীর ছেলে হওয়ায় মামলাটি চেপে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় এ ব্যাপারে একটি টুইট করে জানতে চেয়েছেন, ‘এখন কংগ্রেসের দুই নেতা এবং নেত্রী রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর দেখা নেই কেন!’
বস্তুত, বিজেপি-শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে হওয়া একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় প্রিয়ঙ্কা উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন বহু বার। অমিতের দাবি, এ ঘটনাটিও ধর্ষণের। আর তাতে অভিযুক্ত খোদ কংগ্রেসেরই মন্ত্রী। তবে রাহুল বা প্রিয়ঙ্কা এখন নীরব কেন?
শনিবারের ওই ঘটনায় চিকিৎসাধীন তরুণীর মুখে কালি ছেটানোর ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।
২৩ বছরের ওই তরুণীকে গত এক বছর ধরে কংগ্রেসের মন্ত্রীপুত্র দিল্লি এবং রাজস্থানে বহু বার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ তরুণীর।
পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, রোহিত তাকে খুনের হুমকি দিয়েছেন। ধর্ষণের অভিযোগের কথা জানাতেই রোহিত তাকে তার মন্ত্রী-বাবার ক্ষমতার কথা জানিয়ে বলেন, “অভিযোগ করলে নির্যাতিতাকে হয়তো আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না।”
