আফ্রিকার দেশগুলির বাইরে প্রথমবারের মতো মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপের দেশ ব্রাজিল ও স্পেনে। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বের অনেক দেশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের খবরে বলা হয়, ব্রাজিলে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ৪১ বছর বয়সী একজন মারা গিয়েছেন। আফ্রিকার দেশগুলির বাইরে মাঙ্কিপক্সে এটিই প্রথম মৃত্যু। এরপরই মাঙ্কিপক্সে একজনের মৃত্যুর কথা জানাল ইউরোপের দেশ স্পেন। ইউরোপে মাঙ্কিপক্সে এটি প্রথম মৃত্যু।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তি লিম্ফোমায় ভুগছিলেন। এছাড়া তার শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও দুর্বল ছিল।
ব্রাজিলে এখনও পর্যন্ত ১০৬৬ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছেন আরও ৫১৩ জন।
স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ৩৭৫০ রোগীর সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১২০ জন বা ৩.২ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে এখনও পর্যন্ত ২১১৪৮ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এই সংক্রমণের পেছনে রয়েছে মাঙ্কিপক্স নামের একটি ভাইরাস। এটি স্মলপক্স ভাইরাসের শ্রেণিতে পড়ে।
গত সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যদিও মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের সংখ্যা এখনও অনেকটাই কম। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও কম বলে জানা গিয়েছে।
করোনা অতিমারীর প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এর আগে সাধারণত আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই ভাইরাস শনাক্ত হত।