ইউক্রেনের মারিউপোলকে সফলভাবে মুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শহরটি নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য রুশ সৈন্যদের প্রশংসা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিউপোলের আজভস্তল স্টিল কারখানাটি অবরুদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। সেখানে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। তবে কারখানাটিতে এখনও রুশ সেনারা প্রবেশ করেনি। কারণ সেখানে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা রয়েছে।
ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, গতকাল বেসামরিক লোকজনকে বহনকারী ৪টি বাস মানবিক করিডর ব্যবহার করে শহর ত্যাগ করেছে। বৃহস্পতিবারও নারী, শিশু এবং বয়স্কদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, মারিউপোলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। প্রায় দুই মাসের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পর মারিউপোলের লড়াই এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শহরটিতে বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়েছেন এবং অনেকে মারা গেছেন।
চলমান যুদ্ধের মাঝে দু’দিন আগে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের আল্টিমেটাম দিয়েছিল মস্কো। আত্মসমর্পণ করা যোদ্ধাদের জীবন রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দেয় রাশিয়া। সেই আহ্বানে সাড়া না মেলায় বুধবার ফের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় মারিউপোলে অবস্থানরত সেনা ও বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেয় ইউক্রেন।
এরপরই ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের অবশিষ্ট ঘাঁটি আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা দখলের ঘোষণা দেন রাশিয়ার চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ সহযোগী রমজান কাদিরভ।
তিনি বলেছেন, দুপুরের খাবারের আগে বা পরে, আজভস্টাল সম্পূর্ণরূপে রাশিয়ান ফেডারেশনের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
এদিকে পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্কের ৮০ শতাংশ এলাকা এরইমধ্যে রাশিয়া দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন সেখানকার গভর্নর। ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ উল্লেখ করে পশ্চিমাদের প্রতি আরও বেশি করে অস্ত্র সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। সংকট সমাধানে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।