মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তার উপর আরও চাপ প্রয়োগের কথা জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। খবর এএফপি।
বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন চলাকালীন মিয়ানমার বিষয়ে মার্কিন কূটনীতির নেতৃত্বদানকারী স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাউন্সেলর ডেরেক চোলেট বলেন, ‘জান্তা শাসকদের ওপর আরো চাপ প্রয়োগের ব্যাপারে এখানে ব্যাপক সম্মতি রয়েছে।’
তিনি এই মাসে একটি বিমান হামলায় ১১ স্কুলছাত্রের মৃত্যু এবং সেইসঙ্গে জুলাই মাসে জান্তা কর্তৃক চারজন বিশিষ্ট বন্দীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গণতন্ত্রের এক দশক-ব্যাপী পরীক্ষা শেষ করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তা নির্বাচিত সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
চোলেট বলেছেন যে, তিনি অন্যান্য সরকার এবং ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেতা অং সান সু চি’র পার্টি দ্বারা প্রভাবিত জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেছেন। বার্মা নামে পরিচিত দেশের অভ্যন্তরে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর সাথে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন৷
তিনি বলেছিলেন যে, তিনি নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবের বিষয়ে অন্যান্য দেশের সাথে কথা বলেছেন যদিও প্রচেষ্টাটি ‘খুব প্রাথমিক পর্যায়ে’ এখনও সুনির্দিষ্টভাবে স্পষ্ট নয়।
তিনি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী মিত্রদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, রাশিয়া এবং চীন কাউন্সিলকে পদক্ষেপ নিতে দিতে কতদূর ইচ্ছুক সে বিষয়ে আমাদের সকলকে বাস্তববাদী হতে হবে। আমরা মনে করি এই চেষ্টা চালানোটি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, আগামী আগস্টে জান্তার নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয় তিনি অন্যান্য সরকারকেও জানিয়েছেন, ‘এই নির্বাচনে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতার কোনো ধারণা দেওয়া উচিত নয়।’
চোলেট বলেন, এই সত্যের পরিপ্রেক্ষিতে যে দেশের অর্ধেকের মতো অঞ্চলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই, রাজনৈতিক বন্দীদের আটকে রেখে হত্যা করছে এবং অং সান সু চি মূলত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন এবং ২০ মাস ধরে কেউ তাকে দেখেনি। এ অবস্থায় আমি তাদের বলেছিলাম যে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে এমন কোন সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার, মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টমাস অ্যান্ডুজস সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনে ‘জালিয়াতি’ হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা নেতাদের লক্ষ্য করে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।