মিয়ানমারে গত ১০ দিনে বেসামরিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষে অন্তত ৯০ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত শনিবার থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশটির স্যাগাইন, মাগে অঞ্চল এবং কায়াহ প্রদেশে এসব সংঘর্ষ হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, স্যাগাইনের প্যালে শহরে মিয়ানমারের প্রবাসী সরকারের বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সদস্যদের হামলায় ছয়জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন। প্যালেতে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়িতে পিডিএফের হামলায় ১২ জন জান্তা পুলিশ নিহত হয়েছেন।
এদিকে স্যাগাইনেই একটি পুলিশ স্টেশনে সিভিলিয়ান ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন অব মিয়াং (সিডিএসওএম) সদস্যদের হামলায় ১৫ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন।
এছাড়া সিডিএসওএম দাবি করেছে, পৃথক ঘটনায় জান্তা বাহিনীর দুটি সামরিক যানে হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
মাগে অঞ্চলে ইয়াও ডিফেন্স ফোর্সের (ওয়াইডিএফ) সঙ্গে ১১ ঘণ্টার লড়াইয়ে ২০ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে মারাত্মক সংঘাত দেখা দিয়েছে। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার ১৬৭ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া দেশটিতে গ্রেফতার হয়েছেন সাংবাদিক, শিল্পীসহ ৭ হাজার ২১৯ জনের বেশি মানুষ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে মারাত্মক সংঘাত দেখা দিয়েছে।
পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) তথ্য অনুযায়ী, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকারের হাতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৬৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ৭ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।