প্রথমবারের মতো ম্যালেরিয়ার টিকা অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে করে প্রতিবছর আফ্রিকায় লাখো শিশুর মৃত্যু ঠেকানোর পথ তৈরি হলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস জেনেভায় এক সংবাদ সম্মলনে বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন বিজ্ঞান, শিশু স্বাস্থ্য ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি যুগান্তকারী সাফল্য। এটি প্রতিবছর লাখো শিশুর জীবন রক্ষা করবে।
ম্যালেরিয়াকে এখনো বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যাতে বেশি মারা যায় শিশু ও নবজাতকরা।
এর আগে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এই টিকাকে ছাড়পত্র দেয়ার সুপারিশ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক ডা. মাতশিদিসো মোয়েতিও বলেন, আজকের এই ঘোষণা আফ্রিকা মহাদেশের জন্য আশোর অলো। আমরা আশা করি এই টিকার মাধ্যমে আরও অনেক আফ্রিকান শিশু ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পাবে এবং সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক হবে।
প্রায় এক শতাব্দীর চেষ্টার পর শিশুদের জন্য ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন পাওয়াকে চিকিৎসা খাতের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরটিএসএস নামক ভ্যাকসিনটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিলো ছয় বছর আগে। এরপর ঘানা, কেনিয়া ও মালাউইতে টিকাদানের পাইলট কর্মসূচি পরিচালনার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন বলছে, এখন এটি সাব সাহারা আফ্রিকা এবং অন্য অঞ্চলেও মধ্যম থেকে উচ্চ মাত্রার ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।
বিশ্বে একশরও বেশি ধরণের ম্যালেরিয়া আছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী কিন্তু আফ্রিকাতে বেশি দেখা যায়, এমন ধরণটির বিরুদ্ধেই নতুন টিকা কার্যকর।
তবে টিকাটি কার্যকর হতে চার ডোজ দরকার হওয়ায় এ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
এর মধ্যে প্রথম তিন ডোজ- পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম মাসে আর দেড় বছর বয়সে আরেকটি বুস্টার ডোজ।
ঔষধ প্রস্ততকারক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) এটি প্রস্তুত করছে। তবে এটি আফ্রিকার বাইরে ম্যালেরিয়ার অন্য ধরণগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে না।