যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ মানুষের ওপর আবারও বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। রোববার দেশটির দুটি শহরে পৃথক হামলায় অন্তত সাতজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। (খবর এনডিটিভির)।
জানা গেছে; হিউস্টনে একটি বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে এলে তাদের ওপর গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। এ ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত এবং ২ জন আহত হন।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান ট্রয় ফিনার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সন্দেহভাজন ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ৮০২০ ডানল্যাপ স্ট্রিটের একটি ভাড়া বাড়িতে আগুন দেন। তিনি ওখানকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা ছিলেন।
আগুন লাগানোর পর বাসিন্দাদের বেরিয়ে আসার জন্য বাইরে অপেক্ষা করেছিলেন বন্দুকধারী। বেরিয়ে আসতেই তাদের ওপর গুলি চালায় ওই ব্যক্তি।
ফিনার জানান, পুলিশ ও হিউস্টন দমকল বিভাগের কাছে রোববার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে একাধিক গুলি ও আগুনের খবর আসে। দমকল কর্মীরা সেখানে পৌঁছালে গুলি ছোড়ে বন্দুকধারী।
এ অবস্থায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন এক কর্মকর্তা। সেখানে যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিও রয়েছেন।
মার্কিন দমকল বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী বন্দুকযুদ্ধে জড়ানো ওই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে রোববার বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরেও। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে চারজনকে জখম করেন। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন।
মিডয়েস্টার্ন সিটির পুলিশ প্রধান জেম হোয়াইট স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রথম তিন ভুক্তভোগীর মধ্যে দু’জন নারী ও একজন পুরুষ। রোববার সকালে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় তাদের ওপর আক্রমণ করা হয় ও একাধিকবার গুলি চালানো হয়।
চতুর্থ ব্যক্তি সন্দেহভাজনকে একটি গাড়ির জানালায় উঁকি মারতে দেখেন এবং থামতে বলেন। এসময় হামলাকারী তাকেও গুলি করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগীদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন এবং একজন বেঁচে রয়েছেন।
পরে রোববার রাতের দিকে ডেট্রয়েট পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।