যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা হ্যারিকেন ‘আইডা’র প্রভাবে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬-এ দাঁড়িয়েছে। যাদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে, ওই সময় তারা বাড়ি ও গাড়িতে অবস্থান করছিলেন। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূলীয় এলাকা। খবর রয়টার্স।
প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়টি তাণ্ডব চালায় দেশটির পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল মেরিল্যান্ড থেকে শুরু করে কানেকটিকাট পর্যন্ত। মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি নিউজার্সিতে, এ রাজ্যেই এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আর নিউইয়র্কে মারা গেছে ১৩ জন। শুধু নিউ ইয়র্কেই অন্তত ৫০০ গাড়ি পানিতে ডুকে নষ্ট হয়েছে।
ফিলিপ নামের এক ডেমোক্র্যেটিক সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, নিউইয়ার্কে মৃতদের মধ্যে অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার পানিতে ডুবে, যারা অবস্থান করছিলেন ভবনের নিচতলায়।
এছাড়া ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টিতে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, পেনসিলভেনিয়ায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে গাছের নিচে চাপা পড়ে। অন্যজন তার স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে তার নিজের গাড়িতেই ডুবে মারা গেছেন।
এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে কানেকটিকাট রাজ্যে। সেখানকার ব্রায়ান মোহল নামের এক পুলিশ সার্জেন্ট সৃষ্টি জলাবদ্ধতায় প্রবল স্রোতে তার গাড়ি ভেসে যাওয়ার সময় মারা যান। মেরিল্যান্ডে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জাতীয় হারিকেন সেন্টার গত মঙ্গলবার থেকেই সতর্ক করেছিল যে, আটলান্টিক মধ্যবর্তী অঞ্চল এবং নিউ ইংল্যান্ডে প্রবল হ্যারিকেন এবং ভয়াবহ বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল এবং নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডি ব্লাসি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাত এতোটেই প্রবল হয়েছে যে, তারা রীতিমতো হতবাক।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিষ্কাশন না হওয়ায় বাসা বাড়ি ও ভবনের নিচতলায় প্রবেশ করে। ৭ থেকে ২৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বিভিন্ন এলকায়।
এর আগে ওয়াশিংটনে, উত্তর-পূর্ব বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে উদ্ধার তৎপরতার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।