ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার। এর ফলে বাখমুত দখলে নিয়োজিত সৈন্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
রোববার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন টেলিগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন যেখানে দেখা যায় ধ্বংসস্তূপের মাঝে রাশিয়ার সেনা নিজেদের দেশের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এসময় গোটা বাখমুত শহর দখল করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে দখল করা শহরের দায়িত্ব তুলে দেয়ার আগে পুরো শহরের ভাল করে তল্লাশি চালাবে ওয়াগনার বাহিনী, এমনটাও জানানো হয়। আগামী ২৫ মে-র মধ্যে তল্লাশি শেষ করে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে শহরের দায়িত্ব রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে।
এদিকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বাখমুত শহর দখলের দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, এখনও সংঘর্ষ চলছে, বাখমুত হাতছাড়া হয়নি।
শনিবার কিয়েভের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে ব্য়াপক সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। এর কয়েক ঘণ্টা পরই রাশিয়ার তরফে ঘোষণা করা হয়, তারা বাখমুত শহর দখল করে নিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাখমুতকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের বাখমুত শহরে লবনের খনি রয়েছে। ৭০ হাজার জনসংখ্য়ার এই শহরে সবথেকে বেশি সময় ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেন বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। এ সংঘর্ষে দুই দেশের সেনারা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। যদি রাশিয়া এ শহর দখল করতে সফল হয়, তাহলে এটা তাদের কাছে বড় জয় হবে এবং ডনবাস শহরের বাকি অংশ দখল করতেও সুবিধা হবে।