বুধা সামাল পেশায় একজন রিকশা চালক। রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন ওডিশার কট্টকের এই বাসিন্দা। এর পাশাপাশি স্বামী-সন্তান হারা এক বৃদ্ধার দেখাশোনা করতো বুধা ও তার পরিবার।
এতে খুশি হয়ে নিজের সব সম্পত্তি বুধার নামে লিখে দিয়েছেন ৬৩ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা। আর তাতে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান ওই রিকশা চালক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ওডিশার কট্টকের সুতাহাট এলাকায়। ৬৩ বছর বয়সী মিনতি পাটনায়েক ও বুধা সামাল একই এলাকার বাসিন্দা। গত বছর মিনতির স্বামী মারা যান। এর ৬ মাসের ব্যবধানে বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন একমাত্র মেকেও হারান এই বৃদ্ধা।
স্বামী-সন্তানকে হারানোর পর পুরোপুরি একা হয়ে পড়েন মিনতি। এরপর মিনতির দেখাশোনা শুরু করেন রিকশাচালক বুধা সামাল ও পরিবার। এতে খুশি হয়ে সব সম্পদ বুধাকে লিখে দিয়েছেন এই বৃদ্ধা।
এর মধ্যে রয়েছে ৬৩ বছর ওই বৃদ্ধার তিনতলা বাড়ি, সোনা-গয়না ও অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি। যার মূল্য এক কোটি রুপির বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় এক কোটি ১৫ লাখ টাকা।
রিকশাচালককে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা মিনতি বলেন, আমার অন্যান্য সকল আত্মীয়দের যথেষ্ট সম্পত্তি আছে এবং আমি সব সময় একটি দরিদ্র পরিবারকে আমার সম্পদ দান করতে চেয়েছিলাম। আমার মৃত্যুর পর যাতে কেউ তাদের হয়রানি না করে, এজন্য আমি বুধা ও তার পরিবারকে বৈধভাবে সবকিছু দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়া বুধা বলেন, আমি কখনো সম্পদের স্বপ্ন দেখিনি। কিন্তু আমি সব সময় মিনতির দেখাশোনা করেছি। তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আমরা তার পাশে থাকব।