ভারতে ফের হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩০ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৫ জন। এ অবস্থার মধ্যেও শুরু হলো ৪৭ দিনব্যাপী গঙ্গাসাগর মেলা। যেখানে প্রথম দিনেই পূন্যস্নান করলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১১৩ জন।
করোনার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে ভারতে শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। রেকর্ড করোনা সংক্রমনের মধ্যে গঙ্গাসাগরে স্নান সারলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। গতকাল শুক্রবার পুণ্যস্নানে ছিল না মাস্কের ব্যবহার, দেখা মিলেনি সামাজিক দূরুত্বও। আজ শনিবারও জড়ো হচ্ছেন লাখো ভক্ত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে করোনার হটস্পট গড়ে উঠতে পারে গোটা ভারতে।
কথায় রয়েছে, সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। ১৩টি চেকিং পয়েন্টের বাঁধা টপকে শুক্রবার সাড়ে তিন লাখ পুণ্যার্থী সাগরে পৌঁছান। গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই চলে স্নান পর্ব ।
শুধু ভারত নয়, ভারতের বাইরে থেকে ও বহু পুণ্যার্থী এসে ভিড় করেছেন গঙ্গাসাগর মেলাতে। করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। চলছে কড়া নজরদারি। এরিমধ্যে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। মেলায় দায়িত্ব পালনকরা অন্তত ৩৮ পুলিশ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গার জলে স্নান করলে পাপমোচন হয়। করোনার ভ্রুকুটি হার মানে মানুষের বিশ্বাসের কাছে। সবার অন্তরে ভয় আছে, তবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি যে করোনাভাইরাস দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। দিনটি অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ। যারা আজ গঙ্গায় স্নান করে আর ভগবানের কছে প্রার্থনা করেন তাদের মঙ্গল হবে।
৪৭ দিনব্যাপী দীর্ঘ এ মেলার প্রথম দিন ছিল শুক্রবার। শনিবারেও গঙ্গায় পবিত্র স্নান করার কথা রয়েছে লক্ষাধিক ভক্তের। গেল বছরও একই ধরণের একটি ধর্মীয় জনসমাগম ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল। এবারো উৎসবস্থল করোনা বিস্তারের হটস্পটে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।