সপ্তাহের শেষে লেবাননের একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি দলগুলোর মধ্যে এইন এল-হিলওয়েহ ক্যাম্পে এই সংঘর্ষ হয়। খবর বিবিসির।
নিহত ছয়জনের মধ্যে একজন ফাতাহ কমান্ডার ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে ফাতাহ আন্দোলন।
জাতিসংঘ বলছে, ১৯৪৮ সালে এইন এল-হিলওয়েহ শিবিরটি লেবাননের বৃহত্তম ৬৩ হাজারেরও বেশি নিবন্ধিত শরণার্থী নিয়ে স্থাপিত। কিছু অনুমান বলছে, এ সংখ্যা বেশি।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সিডনের কাছে অবস্থিত ক্যাম্পটি লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর এখতিয়ারের বাইরে। এটির নিরাপত্তা শিবিরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, কিন্তু এখানে দলগত বিরোধ সাধারণ বিষয়।
ক্যাম্পের অভ্যন্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শনিবার সপ্তাহান্তে সহিংসতা শুরু হয় যখন ইসলামপন্থী আল-শাবাব আল-মুসলিম গোষ্ঠীর একজন সদস্য নিহত হয়। এতে গ্রুপের নেতাসহ আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
রোববার পর্যন্ত উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ফাতাহ কমান্ডার আশরাফ আল-আরমাউচি এবং তার চার সহযোগীর মৃত্যু হয়।
ফাতাহ এএফপির উদ্ধৃতি দিয়ে একটি বিবৃতিতে লেবাননের ফিলিস্তিনি শিবিরগুলোর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে একটি জঘন্য ও কাপুরুষোচিত অপরাধ’ বলে নিন্দা করেছেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্সি বলেছে, শিবিরের নিরাপত্তা একটি লাল রেখা এবং আমাদের জনগণকে ভয় দেখানো এবং তাদের নিরাপত্তার সঙ্গে বিঘ্ন ঘটানো কারো জন্য অনুমোদিত নয়।
সহিংসতার সময় ছয়জন নিহতের পাশাপাশি লেবাননের সেনাও আহত হয়েছে বলে লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
লেবাননে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালক ডরোথি ক্রাউস বলেছেন, শিবিরে সংস্থার সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি সব জঙ্গি দলকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জাতিসংঘ প্রাঙ্গণের অলঙ্ঘনীয়তাকে সম্মান করার আহ্বান জানান।
এএফপির উদ্ধৃতি দিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, লেবাননে ইউআরডব্লিউএতে ৪ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি শরণার্থী নিবন্ধিত। দেশটির ১২টি শরণার্থী শিবিরে প্রায় অর্ধেক বাস করে, যেখানে জীবনযাত্রা ভয়াবহ।