কর্মীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে সপ্তাহে ৬ দিনের বদলে ৪ দিন কাজ করার একটি পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রমে সরকারি-বেসরকারি ৩ হাজার কর্মী আগামী ৬ মাস সপ্তাহে ৪ দিন অফিস করবেন। সময় কমিয়ে আনলেও তারা বেতন পাবেন পুরো মাসেরই। খবর সিএনএনের।
৬ দিনের বদলে ৪ দিন অফিস করলেও ঠিক পুরো সপ্তাহ কাজের সমানই ফলাফল পাওয়া যায় কি না, এটি যাচাই করাই পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ পাইলট প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন ৭০টি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। পুরো সপ্তাহ কাজ করলে যে পরিমাণ কাজ হতো, তা ৪ দিন কাজ করেই তারা সেই পরিমাণ কাজ করবেন, এ নিশ্চয়তা দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গ্লোবাল, অটোনমি, একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং ৪ দিন সপ্তাহ ইউকে ক্যাম্পেইনের সঙ্গে কাজ করছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বোস্টন কলেজের গবেষকরা।
লন্ডনের একটি মদ্যপান প্রেশার ড্রপ ব্রিউইংয়ের ব্র্যান্ড ম্যানেজার সিয়েনা ও’রউর বলেন, কোম্পানির সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো, কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক সুস্থতা উন্নত করা।
তিনি বলেন, “করোনা মহামারি আমাদের কাজ এবং কীভাবে মানুষ তাদের জীবনকে পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু ভাবতে বাধ্য করেছে।”
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “আমরা আমাদের কর্মীদের জীবন-মান উন্নত করতে এবং বিশ্বের একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ হতেই এ প্রকল্প চালু করেছি।”
এর আগে এখন পর্যন্ত এ ধরনের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পরিচালনা করেছিল আইসল্যান্ড। দেশটি ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ সরকারি কর্মী নিয়ে এ প্রকল্প পরিচালনা করে ৪ দিন সপ্তাহের কাজে কোনো ধরনের কমতি পায়নি। ৬ দিন কাজ করে যে ধরনের ফলাফল পাওয়া যায় ৪ দিনের কাজেও ঠিক সে রকমই ফল পেয়েছিলেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।