প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বিপর্যয়ে দায়ীদের শাস্তির হুঁশিয়ারি বাইডেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ মার্চ ২০২৩ ০৯:৫৮:১১ | আপডেট: ২ years আগে
সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বিপর্যয়ে দায়ীদের শাস্তির হুঁশিয়ারি বাইডেনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) বিপর্যয়ের জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তির হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জানালেন, এর জন্য প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে।

গত শুক্রবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একদম দেউলিয়া হয়ে যায় এসভিপি। দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর ব্যাংকের গচ্ছিত অর্থ অধিগ্রহণ করেছে সরকার। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার পর, একেই খুচরা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলা হচ্ছে।

সিলিকন ভ্যালি প্রসঙ্গে রোববার রাতে একটি বিবৃতিতে বাইডেন বলেন,‘আমাদের ঐতিহাসিক এবং অর্থনৈতিক সম্পদকে রক্ষা করার জন্য কী ভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। একইসঙ্গে, যারা এই ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিপর্যয়ের জন্য দায়ী, তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’

সিলিকন ভ্যালি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ নাগরিকদের আস্থা নরবড়ে হয়ে গেছে। তা পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হয়েছেন বাইডেন। সোমবার নাগরিকদের আশ্বস্ত করার জন্য তিনি ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির বিষয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক যাত্রা শুরু করে ১৯৮৩ সালে। প্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অল্প সময়ে বিপুল অর্থ সঞ্চয় করেছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের বন্ডেই এই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির হার কমাতে ফেডারেল রিজার্ভ গত বছর সুদের হার বাড়াতে শুরু করে, যার ফলে বন্ডের দর কমে যায়। স্টার্টআপগুলোও করোনা অতিমারির পর থেকে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে। আস্থা হারিয়ে ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা তড়িঘড়ি সঞ্চিত অর্থ তুলে নিতে শুরু করেন।

ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, বুধবার ব্যাংকটির নামে গুজব ওঠে। বলা হয়, গুরুতর আর্থিক ঘাটতিতে ভুগছে এসভিপি। ঘাটতির পরিমাণ এতটাই যে, ব্যাংকের ব্যালান্স শিটের কিনারা করতেই প্রয়োজন অন্তত ২২৫ কোটি ডলার।

এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর গ্রাহকদের টাকা তোলার হিড়িক পড়ে যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত হাজার হাজার গ্রাহক নিজেদের ব্যাংক হিসাব খালি করে টাকা তুলে নেন।

এসভিবির কর্মকর্তারা জানান, গুজবের আগে এসভিবির সবগুলো শাখায় মোট ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ ছিল। কিন্তু গ্রাহকদের প্রায় সবাই টাকা তুলে নেওয়ার পর এখন অবশিষ্ট আছে মাত্র ৯৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এরপরেই এসভিবির সমস্ত শাখা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

সেই ব্যাংকে গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থের ভার নিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডেরাল ডিপোজিট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন (এফডিআইসি)।