মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির পাঁচটি অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত করেছে জান্তাশাসিত দেশটির আদালত। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার আদালত রুদ্ধদার এজলাসে কারাবন্দি নেত্রীর সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় আদালত সূত্রটির নামপরিচয় গোপন রেখেছে রয়টার্স।
আদালত বলেছে, দুর্নীতির পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় কারাবন্দি সু চিকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের সেশন চলে খুবই গোপনে। যেখানে সু চিকে হাজির করা হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী।তখন সু চিসহ তার দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ সু চির বিরুদ্ধে করা মামলার শেষ রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। সেই অনুযায়ী এজলাসে কারাবন্দি নেত্রীর সাত বছরের কারাদণ্ড দেন মিয়ানমারের আদালত।
এর আগে কয়েকটি মামলার রয়ে মোট ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মিয়ানমারের এই নারী নেত্রীকে। তবে এবার সর্বশেষ রায়ে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো তাকে।
সু চিকে কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি দেশটির সামরিক সরকারের মুখপাত্র। মূলত মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো বা প্রকৃত নেতা থাকাকালীন হেলিকপ্টার ইজারা এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচারণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চি তার রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় সামরিক সরকারের অধীনে বন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন।