প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

হিরোশিমায় মার্কিন পারমাণবিক হামলার ৭৬ বছর পূর্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৬ আগস্ট ২০২১ ১৪:২৪:২৫ | আপডেট: ৩ years আগে
হিরোশিমায় মার্কিন পারমাণবিক হামলার ৭৬ বছর পূর্তি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমাতে ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক ও বর্বরোচিত মার্কিন হামলার ৭৬ বছর পূর্তি আজ। দিনটি উপলক্ষে জাপানে পালিত হচ্ছে হিরোশিমা দিবস।

এদিন পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতাদেরকে জোটবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই।

বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে আহবান জানিয়ে মেয়র কাজুমি মাতসুই বলেন, বর্তমান মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের সকল দেশ যেমন এক জোট হয়ে কাজ করছে, ঠিক সেভাবেই পরমাণু নিষ্ক্রিয়করণে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

মাতসুই বলেন, ‘যুদ্ধ জয় করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এর অপর নাম পরিপূর্ণ বিনাশ। তবে বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ একসাথে কাজ করার মাধ্যমে আমরা এই বিনাশ আটকাতে পারি। কোনো সভ্য সমাজ এমন গণহত্যা চালানোর অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে না।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৫ সালে ৬ আগস্ট বিশ্বে প্রথমবারের মতো জাপানের হিরোশিমা শহরে পারমাণবিক বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় হিরোশিমার বেসামরিক ও নিরস্ত্র শিশু-নারী-পুরুষসহ প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়।

ওই হামলার তিনদিন পর, ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দ্বিতীয় এবং বিশ্ব ইতিহাসের শেষ পারমাণবিক বোমা হামলা চালিয়ে ৭০ হাজার মানুষকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দেশ জাপান।

বিশ্ববাসী জাপানে পারমাণবিক হামলার ভয়াবহতা দেখলেও সময়ের সাথে সাথে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার গড়ে তুলেছে বিভিন্ন দেশ।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তিতে এখন পর্যন্ত ৫০টি দেশ অংশ নিলেও, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশ চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকার ছায়াতলে থাকা জাপানও এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।

এসময় হিরোশিমার মেয়র জাপান সরকারের প্রতি পরমাণু অস্ত্রবিরোধী চুক্তিতে স্বাক্ষরের জোর দাবি জানান। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা চুক্তির বিষয়ে নিজেদের অবস্থানের এই বিষয়টি এড়িয়ে যান।

তিনি বলেন, ‘পরমাণু নিষ্ক্রিয়করণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দেশের নিজস্ব কিছু নীতি রয়েছে। তবে এ নিয়ে ভিন্ন মতের দেশগুলোর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।’