আগামী বছরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তুরস্কের জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি ১৯৯৮ সালের পর অর্থাৎ গত ২৪ বছরের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ। সরকারি তথ্য বলছে, মে মাসে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ৭৩.৫ শতাংশে। এটি আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের জন্য বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর আরব নিউজের।
যদিও, দেশটির বিরোধী দল ও অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, মূল্যস্ফীতি ১৬০.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা সরকারি তথ্যের দ্বিগুণেরও বেশি।
আরও পড়ুন- পাল্টে গেলো তুরস্কের নাম
এ যখন অবস্থা, তখন দেশটির অর্থনৈতিক এ দুর্দশার জন্য এরদোগানের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নেয়া অবস্থানে কম সুদ হারের অপ্রচলিত অর্থনৈতিক নীতিকে দায়ী করেছেন সমালোচকরা।
খাদ্য ও জ্বালানির ঊর্ধ্বগতি মূল্যস্ফীতিকে গত মাসে আরও বাড়িয়েছে। পরিবহন মূল্য মে মাসে ১০৭.৬ শতাংশ বেড়েছে। আর খাদ্যদ্রব্যে দাম বেড়েছে ৯১.৬ শতাংশ ।
আরব নিউজ বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রান ও করোনভাইরাসের বিরূপ প্রভাবে দাম বেড়েছে। সেইসাথে পণ্যের উত্পাদনও বাধাগ্রস্ত করছে।
দেশটিতে আগামী বছরের জুনে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে তুরস্কের বিরোধী দল এবং অনেক অর্থনীতিবিদ জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থার দেয়া এ মুদ্রাস্ফীতির তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করছেন। তারা বলছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে কম দেখানো হচ্ছে মূল্যস্ফীতি।
শুক্রবার স্বাধীন তুর্কি অর্থনীতিবিদদের নিয়ে গঠিত মুদ্রাস্ফীতি গবেষণা দল বলেছে, মুদ্রাস্ফীতি আসলে ১৬০.৮ শতাংশ। যা সরকারি তথ্যের দ্বিগুণেরও বেশি।