প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

২৮ মিলিয়ন মানুষ বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার: রিপোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:০০:৩২ | আপডেট: ২ years আগে
২৮ মিলিয়ন মানুষ বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার: রিপোর্ট

বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ আধুনিক দিনের দাসত্বের মধ্যে বসবাস করছে। যার মধ্যে ২৮ মিলিয়ন বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার।

সোমবার আইওএম, ওয়াক ফ্রি  এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) পক্ষ থেকে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল এস্টিমেটস অব মডার্ন স্লেভারি রিপোর্ট ২০২২' শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে মানুষকে কীভাবে নির্দিষ্ট কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে তার একটি বিশদ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি একটি চমকপ্রদ সত্য উদ্ঘাটন করেছে। এতে বলা হয়েছে, সমস্ত বাধ্যতামূলক শ্রমের ৫২ শতাংশই উচ্চ-মধ্যম বা উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে সংঘটিত হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক শ্রমের ৮৬ শতাংশ বেসরকারি খাতে এবং রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত বাধ্যতামূলক শ্রম ১৪ শতাংশ।

বাধ্যতামূলক শ্রমের ক্ষেত্রে প্রতি আটজনের মধ্যে কমপক্ষে একজন শিশু (. মিলিয়ন) এবং অর্ধেকেরও বেশি বাণিজ্যিক যৌন শোষণের শিকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছেঅভিবাসী শ্রমিকরা অ-অভিবাসী প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের তুলনায় তিনগুণ বেশি বাধ্যতামূলক শ্রমের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিবাসীরা অনিয়মিত বা দুর্বলভাবে পরিচালিত অভিবাসন এবং অন্যায্য ও অনৈতিক নিয়োগ পদ্ধতির কারণে বেশি পরিমাণে জোরপূর্বক শ্রম এবং পাচারের ঝুঁকিতে থাকে।

প্রতিবেদনে উপসাগরীয় দেশ কাতারের কথা বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-কে কেন্দ্র করে দেশটিতে কর্মরত অভিবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের কথা জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছেযেগুলো বাস্তবায়িত হলে আধুনিক দাসপ্রথার অবসানের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে আইন ও শ্রম পরিদর্শনের উন্নতি ও প্রয়োগ, রাষ্ট্রীয় চাপিয়ে দেয়া বাধ্যতামূলক শ্রমের অবসান, ব্যবসায় ও সরবরাহ শৃঙ্খলে জোরপূর্বক শ্রম ও পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তিশালী ব্যবস্থা, সামাজিক সুরক্ষা প্রসারিত করা এবং আইনি সুরক্ষা জোরদার করা।

প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত অন্যান্য কিছু পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছেঅভিবাসী কর্মীদের পাচার ও বাধ্যতামূলক শ্রমের বর্ধিত ঝুঁকি মোকাবিলা, ন্যায্য ও নৈতিক নিয়োগের প্রচার এবং নারী, মেয়ে ও নাজুক ব্যক্তিদের জন্য আরও বেশি সমর্থন বাড়ানো।