যুদ্ধ বন্ধে বেলারুশ সীমান্তে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনার পরও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে ৪০ মাইল তথা ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রুশ সামরিক বহর দেখা গেছে।
ম্যাক্সার টেকনোলজিস নামের একটি কোম্পানি জানায়, আগে মনে হয়েছিল, বহরটি ১৭ মাইল লম্বা। কিন্তু সর্বশেষ স্যাটেলাইট ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে, বহরটি এর চেয়ে অনেক বড়। খবর বিবিসির।
ম্যাক্সার সোমবার সিএনএনকে জানিয়েছিল, বহরে সাজোয়া যান, ট্যাঙ্ক, টাওড গোলন্দাজ ও অন্যান্য লজিস্টিক যান রয়েছে।
মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থা ম্যাক্সারের তথ্য বলছে, রাশিয়ার বাহিনীর এই বিশাল বহর ইভানকিভ শহরের পি-০২-০২ রোডে দেখা গেছে। রাজধানী কিয়েভ থেকে শহরটি ৪০ মাইল (৬০ কিলোমিটার) দূরে অবস্থিত।
এদিকে রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন দেশের পরমাণুর অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা বাহিনীকে ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো পুতিনের এই বক্তব্যকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে মন্তব্য করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো পুতিনকে থামাতে রাশিয়ার অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ রুশ বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ এবং ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা সহায়তা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার ইউক্রেনের স্থানীয় সময় দুপুর ১টার একটু আগে বেলারুশে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।
বেলারুশের গণমাধ্যম বেল্টা নিউজের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয়বার আলোচনায় বসার জন্য দুই পক্ষই এখন পরামর্শ করতে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবে। কয়েক দিনের মধ্যেই দুই পক্ষ ফের আলোচনায় বসতে পারে।
আলোচনা শুরুর আগে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো আন্তরিকভাবে আশা করছেন সংকট সমাধানে আলোচনায় সব প্রশ্নের সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। বেলারুশের জনগণও এর জন্য প্রার্থনা করছে।
গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ পরিচালনা নির্দেশ দেন। যাতে এ পর্যন্ত ৪ শতাধিক ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে বহু স্থাপনা ও সামরিক যান।