ছয় ঘণ্টার বেশি আটকে রাখার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এবং তার বোন প্রিয়াঙ্কাকে ছেড়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে দিল্লিতে শুক্রবার কংগ্রেসের বিক্ষোভ চলাকালে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা এবং দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের আটক করে পুলিশ।
দুপুর ১টার দিকে বিক্ষোভ শুরুর পর রাহুল, প্রিয়াঙ্কা এবং দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের পুলিশ জিপে করে কিংসওয়ে ক্যাম্পের পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সব নেতাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
বিক্ষোভে রাহুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করছি। প্রায় এক শতাব্দী আগে থেকে একটু একটু করে যে ভারতকে গড়ে তোলা হয়েছে, আপনাদের চোখের সামনে আজ তা ধ্বংস করা হচ্ছে। যেই এই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাকেই নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করা হয়, জেলে নেয়া হয়, গ্রেপ্তার করা হয় এবং মারধর করা হয়।’
আগের দিন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাহুল, তার মা ও কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী এবং দলের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা সংসদে কালো পোশাক পরে গিয়েছিলেন।
একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, কর্তৃপক্ষের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা বিক্ষোভকারীদের দমন করতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের দিল্লিতে কোনও বিক্ষোভ করার অনুমতিও দেইনি।’
সোনিয়া গান্ধী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধীকে অনেকেই ভারতের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করেন। তার বাবা ছাড়াও তার দাদী ইন্দিরা গান্ধী এবং দাদা জওহরলাল নেহেরু সকলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।