তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৪ হাজার ৩৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে ২ হাজার ৯২১ জনের এবং সিরিয়ায় ১ হাজার ৪৫১ জন মারা গেছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি’র।
এদিকে, ধসে পড়া ভবনে আটকা পড়েছেন অনেকেই। তাদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। তুরস্কের জরুরি সেবাদান কর্তৃপক্ষ বলছে, সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৪০ জনকে। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের ঘটনায় সাতদিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা কয়েক ঘণ্টা আগে ২ হাজার ৯২১ জন ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সাথে আহত হয়েছেন ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৪৫টি দেশ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
গত শতাব্দীর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৮। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টা ১৭ মিনিটে এটি আঘাত হানে। এ সময়ে লোকজন ঘুমিয়ে ছিল। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বহু সরকারি ভবন ধসে পড়েছে। ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন- তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: মৃতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়ালো
এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। দ্বিতীয়টি আঘাত হানে দুপুরের দিকে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।
উল্লেখ্য, তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হলেও গত ৮৪ বছরের মধ্যে তুরস্ক এতো শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেনি। সবশেষ ১৯৩৯ সালে উত্তর-পুর্ব তুরস্কে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ১৯৯৯ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইজমীতে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।