ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ১০০ দিন হতে চললো। শুক্রবার ৯৯ দিনের মাথায় দেশটির কৃষি খাতের শুধু একটি ফসলের ক্ষতি কতটা, তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ইউক্রেনে এবার ১৪ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ৪০ লাখ টন গম উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম প্রধান গম উৎপাদনকারী দেশ হওয়ায় যুদ্ধের প্রভাবে এরই মধ্যে সারাবিশ্বে বহুলাংশে বেড়েছে আটাসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দাম।
ইউক্রেনের শস্য ব্যবসায়ীদের ইউনিয়ন- ইউজিএ জানিয়েছে, এবার দেশটির গম উৎপাদন নেমে আসতে পারে ১৯.২ মিলিয়ন টনে। অথচ ২০২১ সালে উৎপাদন ছিল ৩৩ মিলিয়ন টন। কমার পরিমাণ প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন, যা গত বছরের প্রায় অর্ধেক।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবিক তথ্য পোর্টাল রিলিফওয়েবের তথ্য বলছে, ইউক্রেনের কৃষি খাত গ্রামীণ অঞ্চলের প্রায় ১৩ মিলিয়ন ইউক্রেনীয়র জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শুধু তাই নয়, কৃষি খাত দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারের জন্যই খাদ্যের প্রধান সরবরাহকারী।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে, ইউক্রেনের কৃষি খাত ছিল দেশের জিডিপির ১১ শতাংশ, শ্রমশক্তির প্রায় ২০ শতাংশ এবং মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ। এসব কারণে ইউক্রেন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক দেশ।
ভুট্টার ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানিকারক আর রেপসিডের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক৷
রিলিফওয়েব আরও বলছে, ইউক্রেনের শক্তিশালী ও স্থিতিশীল কৃষি খাত শুধু দেশটির জন্যই নয়, সারাবিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) এর প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধের প্রথম মাসেই বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ১২.৬ শতাংশ বেড়ে যায়, যা প্রমাণ করে যে, ইউক্রেন বিশ্বের এক ‘রুটির ঝুড়ি’।