প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে গণহত্যা চালিয়েছে ব্রিটিশ বিশেষ বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ জুলাই ২০২২ ১০:২৩:৫৮ | আপডেট: ২ years আগে
আফগানিস্তানে গণহত্যা চালিয়েছে ব্রিটিশ বিশেষ বাহিনী

আফগানিস্তানে বন্দি ও বেসামরিক নাগরিকদের গণহত্যা করেছেন ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর বিশেষ ইউনিট স্পেশাল এয়ার সার্ভিসেস বা এসএএস। এমন তথ্যই উঠে এসেছে বিবিসি এক অনুসন্ধানে। বেশ সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডগুলো সংগঠিত হয়েছে।

নতুন করে প্রাপ্ত কিছু সামরিক নথিপত্র অনুযায়ী এসএএস বাহিনীর একটি ইউনিট ছয় মাসে অবৈধভাবে ৫৪জনকে হত্যা করেছে। বিশেষ বাহিনীটির সাবেক প্রধান একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, এমন প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি।

এসব হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের ব্যাপারে সাবেক প্রধান, জেনারেল স্যার মার্ক কার্লটন-স্মিথকে সেসময় জানানো হলেও তিনি রয়াল মিলিটারি পুলিশকে সে সম্পর্কে কোন তথ্য দেননি। এমনকি রয়াল মিলিটারি পুলিশ এসএএস ইউনিটের বিরুদ্ধে একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করার পরও তিনি তথ্য দেননি।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে ব্রিটিশ সৈন্যরা "আফগানিস্তানে সাহস ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেছে"।

জেনারেল কার্লটন-স্মিথ এই অভিযোগের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। ২০১৮ সালে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। মাত্র গত মাসেই তিনি তার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

২০১০ ও ২০১১ সালে আফগানিস্তানের হেলমান্দে এসএএস স্কোয়াড্রনের "কিল অর ক্যাপচার" বা "হত্যা অথবা আটক" অভিযান সম্পর্কিত প্রতিবেদন ও শতশত পৃষ্ঠার নথিপত্র পর্যালোচনা করেছে বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠান।

ওই সময় হেলমান্দে বিশেষ ইউনিটের সাথে কর্মরত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে এসএএস সেনারা রাতের অভিযানে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে। হত্যার পক্ষে যুক্তি তৈরি করার জন্য ঘটনাস্থলে একে-৪৭ বন্দুক-এর মত অস্ত্র সাজিয়ে রাখার নজির পাওয়া গেছে।

এমনকি আফগানিস্তানে মোতায়েন এই বিশেষ বাহিনীর সেনারা একে অপরের সাথে হত্যাকাণ্ডের প্রতিযোগিতায় নেমেছিল বলে এই তদন্তে উঠে এসেছে।

বাহিনীর অভ্যন্তরীণ ইমেইল বার্তা যাচাই করে জানা যাচ্ছে যে এসব অবৈধ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে এসএএস'র সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অবগত ছিলেন। মিলিটারি পুলিশকে এসব তথ্য দেয়ার ব্যাপারে তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও তারা তা করেননি।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে তারা মন্তব্য করতে পারছে না। তবে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানোর অর্থ এই নয় যে অভিযোগের সত্যতা গৃহীত হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা