গত বছরের অক্টোবরে আফগানিস্তানে ৫০ হাজার টন গম সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভারত; তবে, পরিবহনের পদ্ধতি, পাঞ্জাবের নির্বাচন এবং বিপুল সংখ্যক ট্রাক ব্যবহারের মতো বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে পাকিস্তানের সাথে বর্ধিত আলোচনার কারণে সেই চালান বিলম্বিত হয়।
এরই ধরাবাহিকতায় আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে ৫০ হাজার টন গম পাঠাতে শুরু করবে ভারত। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে বিরল এ সহযোগিতার ফলে তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি লাখ লাখ আফগানের ক্ষুধা লাঘব করতে সাহায্য করবে।
ইসলামাবাদ নভেম্বরে তার দেশের ভূখণ্ডের মাধ্যমে গম সরবরাহের অনুমতি দেয়ার জন্য নয়াদিল্লির অনুরোধে সম্মত হয় এবং পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সোমবার নিশ্চিত করেছেন যে উভয় পক্ষই এখন পরিবহনের পদ্ধতিগুলো স্থির করেছে।
এ ব্যবস্থায় আফগান ট্রাকগুলোকে ভারত থেকে শস্য সংগ্রহ করার এবং পাকিস্তানের ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে চালানগুলো নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, গমবোঝাই ট্রাকের প্রথম বহরটি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সীমান্ত শহর আত্তারি থেকে রওনা হয়ে, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের তোরখাম সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানে পৌঁছে যাবে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, শুক্রবার নতুন দিল্লির সাথে বিশ্ব সংস্থা স্বাক্ষরিত এক ‘বিশেষ’ চুক্তির অধীনে, মানবিক সহায়তাগুলো আফগান পরিবারগুলোতে বিতরণের জন্য জালালাবাদে জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অফিসে হস্তান্তর করা হবে।
বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলের ভারত-শাসিত অংশের জন্য আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা না দেয়ার নয়া দিল্লির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের জন্য সমস্ত স্থল পথ বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান এবং ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে।
ইসলামাবাদ বলছে, তারা আফগানিস্তানের মানবিক সংকট মোকাবেলা করার জন্য শুধুমাত্র একটি ব্যতিক্রম হিসাবে স্থল পথটি খুলে দিচ্ছে। কারণ, জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তারা অনুমান করেছেন, প্রায় ২.৪ কোটি লোকের জরুরি ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েক লাখ মানুষ ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।