উত্তর কোরিয়া একটি দূর-পাল্লার ও দু’টি মাঝারি-পাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। খবর এএফপি’র।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি দ্বীপের এবং জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় অনেক এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার একটি জরুরি সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
সিউলের সামরিক বাহিনী বলেছে, পিয়ংইয়ংয়ের সুসান এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৪০মিনিটের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি পূর্ব সাগর অভিমুখে উৎক্ষেপণ করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি জাপান সাগর নামে পরিচিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশটির সামরিক বাহিনী আরও জানায়, এর কিছুক্ষণ পর তারা দক্ষিণ পিয়ংগান প্রদেশের কায়িচন থেকে সকাল ৮টা ৩৯মিনিটের দিকে ছোড়া মাঝারি-পাল্লার দুটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে।
তবে, উত্তর কোরিয়ার এমন উস্কানিমূলক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা ঘনিষ্ঠভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে এবং নজরদারি ও সতর্কতা জোরদার করেছে।
পিয়ংইয়ং ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার মাত্র একদিন পরেই এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো। আগের দিন ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র গুলোর একটি দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি স্থানে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকশ’ যুদ্ধবিমানের অংশগ্রহণে সিউল ও ওয়াশিংটন তাদের এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ যৌথ বিমান মহড়া চালানোর পর পিয়ংইয়ং এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে টোকিও বৃহস্পতিবারের এ সব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের খবর নিশ্চিত করেছে। জাপান সরকার সকাল ৮টার কিছু সময় আগে তাদের দেশের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করে তাদেরকে বাসাবাড়ির ভিতরে থাকতে বা কোন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলে।
