বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সাম্প্রতিক একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ওপর দায় চাপিয়েছে মিয়ানমার।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের মহাপরিচালক জ ফিও উইন সোমবার ইয়াঙ্গুনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় মহাপরিচালক বলেন, আরাকান আর্মি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে’ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে মিয়ানমার বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন- মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি আন্তর্জাতিক আইনপ্রণেতাদের
জ ফিও উইন বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সীমান্তের কাছাকাছি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মিয়ানমার সব সময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি মেনে চলে এবং বাংলাদেশসহ সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে’ আরাকান আর্মি ও আরসার সন্ত্রাসীদের পরিখা এবং ঘাঁটির তথ্য অবহিত করা হয়েছে।
এছাড়া সেই সব স্থাপনা ও ঘাঁটি ধ্বংসে প্রয়োজনীয় এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মিয়ানমারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
সাক্ষাতে মহাপরিচালক বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের কাছে মিয়ানমারের ঘটনা সম্বলিত একটি আন অফিসিয়াল পেপার হস্তান্তর করেন।