যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার জন্য ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউস জানায়, এ সম্মেলনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে। যদি রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে হামলা না চালায় তবেই এ সম্মেলন হবে। খবর বিবিসির।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দুই দফায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন। এর পর এ শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়। এ দিন জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
এ আলোচনা ইউরোপে কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম এ সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের পথ বের করতে পারে।
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনালাপে পুতিন এ সংকট দূর করতে ‘কূটনৈতিক সমাধানকে অগ্রাধিকার’ দিতে রাজি হয়েছেন।
ম্যাক্রোঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এ শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের দাবি, কিয়েভে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত রাশিয়া। কিন্তু মস্কো এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
হোয়াইট হাউস বলছে, রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে বলে মনে হচ্ছে। এটি ঘটলে যুক্তরাষ্ট্র ‘দ্রুত ও গুরুতর পরিণতি’ আরোপে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার বলছে, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায় ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়া আরও সেনা মোতায়েন করেছে।
বাইডেন প্রশাসনের অনুমান, ইউক্রেনে ও এর কাছাকাছি সীমান্তে প্রায় এক লাখ ৬৯ হাজার থেকে এক লাখ ৯০ হাজার রুশ সেনা রয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ সমর্থিত যোদ্ধারাও অন্তর্ভুক্ত।
ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখের বেশি সেনা সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আশঙ্কা করছে, মস্কো হয়তো কিয়েভে হামলা চালাতে পারে।
যদিও রাশিয়া ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু দেশটি ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে।
মস্কো আরও একটি বিষয়ের নিশ্চয়তা চায়। সেটি হলো—সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো তার সম্প্রসারণ কার্যক্রম বন্ধ করবে। কিন্তু ওয়াশিংটন ও ন্যাটো রাশিয়ার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।