ভারতের বেঙ্গালুরুতে গণধর্ষণের ঘটনায় ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাদের ৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত।
শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ধর্ষণ মামলার রায়ে চাঁদ মিয়া, মো. রিফাকদুল ইসলাম, মো. আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মো. বাবু শেখ, মো. ডালিম ও আজিম হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত।
এছাড়া তানিয়া খান ও মো. জামালকে যথাক্রমে ২০ বছর ও ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় আরও দুই নারী আসামিকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অপরাধে ৯ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। তবে মামলায় এক অভিযুক্ত ছিলেন ভারতীয়। তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০২১ সালের মে মাসে বেঙ্গালুরু শহরের কানাকা এলাকায় এক নারী যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অপরাধ সংঘটনের ২৮ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল ও তিন মাসে বিচারকার্য শেষ করা হয়।
এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা এবং অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইনের পাশাপাশি ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ধর্ষণের ওই ভিডিও ভাইরাল হলে ভারত ও বাংলাদেশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
মামলায় অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
দেশটির বেঙ্গালুরু পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ভীমশঙ্কর গুলেদ জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ডিএনএ বিশ্লেষণ, মোবাইল ফরেনসিক, আঙুলের ছাপের প্রমাণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ব্যবহার করে ২৮ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেয়।