ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। রোববার পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে এ দুই রাজ্যে। আর বন্যা ও ভূমিধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। খবর এনডিটিভি’র।
আসাম ও মেঘালয়ে বন্যা কবলিত হয়েছে ৪০ লাখ মানুষ। আর ত্রিপুরায় বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
সোমবার আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ভয়াবহ বন্যা কবলিত ওই রাজ্য দুটিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আসামে ২৪ ঘণ্টায় ৩২টি জেলার ৪,২৯১টি গ্রামে বন্যার খবর পাওয়া গেছে। গত ছয় দিন ধরে চলছে ভূমিধস।
রাতভর অবিরাম বর্ষণে আসামের রাজধানী গুয়াহাটির অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শহরে ব্রহ্মপুত্রের জলের প্রবাহ বন্ধ করতে প্রশাসন গুয়াহাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র ভরলুর সব স্লুইস গেট বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রবল বন্যায় মেঘালয়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধসের কারণে রাজ্যটির দুটি জাতীয় মহাসড়কে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।