ইউক্রেনে আগ্রাসনের ৩ মাস পার করলো রাশিয়া। এরই মধ্যে নিজেদের ১ হাজারের বেশি সেনা মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে দেশটি। এই ঘাটতি পূরণ, ইউক্রেনে আরও সেনা পাঠানো এবং নিজেদের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা তুলে দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন রাশিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যরা।
সংসদের নিম্ন ও উচ্চকক্ষ বিলটির পক্ষে হ্যাঁ ভোট দিয়েছে, এখন এটি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
খবরে বলা হয়, রাশিয়ার পার্লামেন্ট সেনাবাহিনীতে নতুন করে যোগদানের জন্য বয়সের সর্বোচ্চ সীমা বাতিল করে একটি আইন পাস করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়া তার সামরিক অভিযানের জন্য আরও সৈন্য নিয়োগ করতে চাইছে বলেই এমনটা করেছে বলে খবর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমটি।
বর্তমান আইনের অধীনে, ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী রাশিয়ান এবং ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী বিদেশি নাগরিকরা প্রথম সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারে।
এ আইন পুতিন অনুমোদন করলে বয়সের এই বাধ্যবাধকতা থাকবে না, এর বেশি বয়য়ের সে কেউ সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া ১ হাজারেরও বেশি সৈন্যের মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছে৷ মস্কো এ আক্রমণকে “বিশেষ সামরিক অভিযান” হিসাবে বর্ণনা করেছে, যার লক্ষ্য ইউক্রেনকে “নিঃশেষ” এবং “সামরিক শক্তি ধ্বংস” করা এবং এর উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুতিন।
রুশ পার্লামেন্টের স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ ভোলোদিন সংসদের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে উদ্ধৃত করেছে “আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সুপ্রিম কমান্ডার-ইন-চিফ সেনাবাহিনীর জয় নিশ্চিত করতে এবং এর কার্যকারিতা বাড়াতে যা কিছু প্রয়োজন সবই করছেন।”