যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে হামলায় এক ভারতীয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করছি আজ সকালে (ইউক্রেনের) খারকিভে হামলায় এক ভারতীয় শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন।’
তিনি লেখেন, ‘মন্ত্রণালয় নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এর আগে মঙ্গলবার ভারতীয় নাগরিকদের ‘যে কোনো উপায়ে’ অবিলম্বে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ত্যাগের পরামর্শ দেয় দেশটি।
ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস এক টুইট বার্তায় জানায়, ‘শিক্ষার্থীসহ ভারতীয় নাগরিকদের আজ জরুরিভাবে কিয়েভ ত্যাগ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিশেষত ট্রেনে বা অন্য যে কোনো সম্ভাব্য উপায়ে।’
সোমবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার চারজন জ্যৈষ্ঠ মন্ত্রীকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু ভারতীয়দের নয়, সেই দেশে আটকা পড়া বিদেশি নাগরিকদেরও সরিয়ে নিতে সহায়তা করার ব্যাপারে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার রাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি গণমাধ্যমকে বলেছেন, উদ্ধার প্রচেষ্টা চলছে। স্থলভাগে পরিস্থিতি জটিল হতে চলছে, যা বেশ উদ্বেগজনক। কিন্তু আমরা আমাদের উদ্ধার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ভারতীয় নাগরিক ইউক্রেন ছেড়েছেন।
এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে বিভিন্ন দেশে তার বিশেষ দূত হিসেবে চার জ্যৈষ্ঠ মন্ত্রীর সফর উদ্ধার প্রচেষ্টাকে তরান্বিত করবে।’
এর আগে গত সপ্তাহে কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অবিলম্বে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
ইউক্রেন সংকট সমাধানে ভারতের হস্তক্ষেপ চাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মোদি রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং কূটনৈতিক আলোচনা ও সংলাপের পথে ফিরে আসার জন্য সব পক্ষ থেকে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমানে ইউক্রেনে প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।