প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:২৮:৪৮ | আপডেট: ১ year আগে
ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আজ

ইউক্রেনের খেরসন, জাপোরিঝিয়া, দোনেতস্ক ও লুহানস্ক দখল করেছে রাশিয়া। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে এই ৪ অঞ্চলকে রাশিয়ার নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল তিনটায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়) গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদের সেন্ট জর্জ হলে ‘রাশিয়ান ফেডারেশনে নতুন অঞ্চলগুলোর প্রবেশ’ সংক্রান্ত ওই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে।

বলা হয়েছে, দেশটির মঞ্চস্থ গণভোট শেষ হওয়ার তিন দিনের মাথায় ইউক্রেনীয় এই চার ভূখণ্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার বলে ঘোষণা করতে যাচ্ছেন তিনি। এ উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পুতিন প্রশাসন। এতে করে সাত মাস ধরে চলে আসা এই যুদ্ধের তীব্রতা নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

‘রাশিয়ান ফেডারেশনে নতুন অঞ্চলগুলোর প্রবেশ’ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শুক্রবার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দখলকৃত এসব অঞ্চলে রাশিয়ায় যোগদানের পক্ষে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অবশ্য ইউক্রেন এবং পশ্চিমা সরকারগুলো এই ভোটকে জাল, অবৈধ এবং অস্ত্রের মুখে পরিচালিত বলে আখ্যায়িত করেছে।

মস্কো বলছে, মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ‘ঐতিহাসিক মাতৃভূমিতে’ ফিরে যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছে। আট বছর আগে একইভাবে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া।

এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘নতুন সব ভূখন্ডকে রাশিয়ার অংশ করে নিতে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩ টায় (১২:০০জিএমটি) গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সেন্ট জর্জ হলে চুক্তি সই অনুষ্ঠান করা হবে। অনুষ্ঠানে রাশিয়া ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে রুশপন্থি দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এবং দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাশিয়া-নিযুক্ত দুই কর্মকর্তার সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে চুক্তি সই করা হবে।’

এরপর ক্রাইমিয়াসহ রাশিয়ার পার্লামেন্টের দুই কক্ষই আগামী সপ্তাহে এই চুক্তিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবে। ৪ অক্টোবরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ থেকে ভাষণ দেবেন।

এদিকে ইউক্রেন বলছে, তারা তাদের ভূখণ্ডের কোনও অংশে রাশিয়ার দখলদারিত্ব মেনে নেবে না এবং শেষ রুশ সেনা প্রত্যাহার হওয়া পর্যন্ত লড়বে।

কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলছেন, কিইভের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হতে চাওয়া অঞ্চল ও এর জনগণকে কখনোই ছেড়ে যাবে না তারা।