আগামী ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া, এমন আগাম তথ্য দিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তিনি বলেন, তথ্য বলছে, ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।
শনিবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, সব লক্ষণ বলছে, রাশিয়ার পরিকল্পনাটি কিছু ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
জনসন বলেন, গোয়েন্দা তথ্য বলছে, রাশিয়া একটি আগ্রাসন শুরু করতে চায়, যা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে ঘিরে ফেলবে। খবর বিবিসির
তিনি বলেন, মানুষের জীবনে যে নিছক ক্ষতি হবে, তা মানুষকে আগে থেকে বুঝতে হবে। এবং এটি সংশ্লিষ্ট অনেককে জড়িত করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার জার্মানির মিউনিখ থেকে এ কথা বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মিউনিখে বিশ্ব নেতাদের বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন চলছে।
নিরাপত্তা সম্মেলনে জনসন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারলে তাইওয়ানসহ গোটা বিশ্বে তা ক্ষতিকর পরিণতি ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অভিপ্রায় কী, তা পুরোপুরি জানি না। কিন্তু লক্ষণ ভাল নয়।
জনসন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর মন্ত্রীরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভ্রমণ করার সময় প্রতিবারই সে দেশের জনগণ এবং নেতাদের আশ্বাস দিয়ে বলে এসেছেন, তাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌত্বের ক্ষেত্রে আমরা বলিষ্ঠভাবেই পাশে আছি। আর এখন ইউক্রেন বিপদগ্রস্ত হলে, সেই অভিঘাতের অনুরণন ঘটবে পূর্ব এশিয়া, তাইওয়ানসহ বিশ্বজুড়ে। আর লোকে তখন বলবে, আগ্রাসনেই ফল হাসিল করা যায়, শক্তি প্রয়োগই ঠিক।
তাইওয়ানের ভূখণ্ডকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে চীন। দরকার হলে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ান দখল করে নেওয়ার সম্ভাবনা চীন নাকচ করেনি।